উজানের ঢলে সোমেশ্বরী নদীর বাঁধ ভেঙে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হঠাৎ পাহাড়ি ঢলে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট পানিতে তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তা, ক্ষেতখামার ও মানুষের সঞ্চয়।
রোববার (১৮ মে) ভোররাতে হঠাৎ করে নদীর পানি বেড়ে গেলে বাঁধটি ভেঙে পড়ে। এতে করে সোমেশ্বরীর পানি আশপাশের জনপদে ঢুকে পড়ে। পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নদী তীরবর্তী সড়ক। চলাচল বন্ধ হয়ে যায় অনেক এলাকায়।
স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকরা বলছেন, বোরো ধান কাটা শেষ হলেও বেশিরভাগ ধান ছিল ঘরে তোলা হয়নি। পানিতে ভেসে গেছে অনেকের সঞ্চিত ধান। এতে করে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা।
একজন কৃষক বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, উঠানে পানি। গোয়ালঘর থেকে ধানের গোলা—সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এখন আমরা কী খাব, কী বাঁচব?’
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাঁধ ভাঙা অংশ চিহ্নিত করা হয়েছে। পানি কমলে দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। তবে, বাঁধ ভাঙার আগাম সতর্কতা বা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সোমেশ্বরী নদীর তীরে ঝিনাইগাতীর এইসব জনপদে প্রায়ই বর্ষা মৌসুমে ভাঙন ও ঢলের আশঙ্কা থাকে। এবার বর্ষা শুরুর আগেই ঢল আসায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।