বগুড়ার শেরপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয় ও মোটরসাইকেল ভাংচুর এবং মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের অফিস কার্যালয়ে এই মারধর ও ভাংচুরের ঘটনায় মো: শিলু মিয়া (৩৭) এই মামলা দায়ের করেন। তিনি মহিপুর কলোনী এলাকার মো: হাফিজার রহমানের ছেলে এবং গাড়িদহ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত নভেম্বরের ৩০ তারিখে রাত ১০ টার দিকে গাড়িদহ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয়ে বসে কথা বলছিলেন শিলু মিয়া সহ অন্যান্যরা। এমন সময় তাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে মারধর, দলীয় ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা সহ অফিস ভাংচুর এবং অফিসের সামনে থাকা ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে একদল দেশীয় অস্ত্রধারী।
এ ঘটনায় গাড়িদহ মধ্যপাড়া এলাকার মো: পলাশ (৩৫), বন্ধন (২৫), ডলার সরদার তুষার (৩৫), নুর আলম ৩৪), জিম (২৭), জাহিদ (১৯) সহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলাটি করা হয়েছে। সশস্ত্র হামলাকারীরা কেন এমন কাজ করলো জানতে চাইলে মামলার বাদী শিলু মিয়া জানান, “যারা আমাদেরকে মারধর করে তাারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলতে পারে তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগের দোসর।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পলাশের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের অহবায়ক কাউসার কলিন্স জানান, “গাড়িদহ দলীয় কার্যালয়ে যারা হামলা করেছে, তারা শুধু হামলা, মারধর, ভাংচুর করেনি, তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং জনাব তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলেছে। হমলাকরীরা যেই হোক আইনের মাধ্যমে আমরা তার বিচার চাই”।
এ ঘটনায় শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, “মামলায় আসামীদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রæত আইনের অওতায় আনা হবে”।