শ্রমিক দিবসে বগুড়ার শেরপুরে গণসংগীত পরিবেশন করেছেন ভারতের সংগীত শিল্পী অসীম গিরি। আলোচনা সভা, গণসংগীত ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসকে।
গণসংগীত অনুষ্ঠানে ভারতের বিশিষ্ট গণসংগীত শিল্পী অসীম গিরি ও স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ এতে অংশ নিয়েছিলেন। শেরপুরে ‘প্রগতি পাঠাগার’ শেরপুর পৌর শিশুপার্ক চত্বরে গতকাল বুধবার (১ মে) বিকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত এমন আয়োজন করেছিল।
শ্রমিক দিবসে আলোচনা সভা, গণসংগীত পরিবেশন এবং পরিচালক খন্দকার সুমনের ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। প্রগতি পাঠাগারের এমন আয়োজনে শেরপুর শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও স্থানীয় নারী- পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
এই অনুষ্ঠানে দর্শকের সারিতে অংশ নেওয়া অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রামকৃষ্ণ মহন্ত বলেন, স্থানীয় বিভিন্ন শ্রমিক ও রাজনৈতিক দলগুলো মালিক শ্রমিক যৌথভাবে এই দিবসের তাৎপর্য নিয়ে অনুষ্ঠান করে থাকে। কিন্তু শেরপুরের প্রগতি পাঠাগারের এমন উদ্যোগটি উপস্থিত সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। শেরপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোবিন্দ বাগচী বলেন, গানে গানে গণসংগীত পরিবেশন করে এই দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরা এ ধরনের আয়োজন শেরপুরে এই প্রথম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় শহীদ মিনার পাদদেশে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, ডা. তন্ময় সান্যাল, বাসদের বগুড়া জেলার আহবায়ক কমরেড সাইফুল ইসলাম, সিপিবির শেরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হরিশংকর সাহা, বরেন্দ্র চন্দ্র সান্যাল। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রগতি পাঠাগারের পরিচালক রঞ্জন কুমার দে।
আলোচনা সভায় কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ১৩৮ বছর আগে শ্রমিকেরা বুকের রক্ত দিয়ে যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলো তা আজও চলমান। শ্রমিকরাজ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তাকে শানিতে করতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে ভারতের কলকাতা থেকে আগত গণসংগীত শিল্পী অসীম গিরি ও স্থানীয় গণসংগীত শিল্পীরা একাধিক গান পরিবেশন করেন। পরে ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হয়।