শেয়ার বাজারে কারসাজির দায়ে বাংলাদেশের জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আর্থিক খাতে অসৎ কর্মকাণ্ডের জন্য সাকিবকে আরও ২ বছর আগেই জরিমানা করা উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।
গত ১৫ বছর দেশের যে হারে দুর্নীতি হয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলে উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন বলেন, চুরি-ডকাতি-দুর্নীতি অনেক দেশেই হয়, তবে বাংলাদেশের মতো দুর্নীতি সচরাচর কোনও দেশে দেখা যায় না। কর কমানো হলেও নিত্যপণ্যের বাজারে দাম কমছে না। চাঁদাবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে, বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা কমানো হবে বলে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এই প্রণোদনা সারাজীবন দেওয়া সম্ভব নয়। সরকাকে যৌক্তিক কর ব্যবসায়ীদের দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বিএসইসির এক তদন্ত প্রতিবেদনে সাকিব আল হাসানের নামে শেয়ার বাজারে কারসাজির অভিযোগ ওঠে। তদন্ত শেষে গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাকে অর্ধকোটি টাকা জরিমানা করে এই সংস্থাটি।