ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
রবিবার (১৮ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার পর থেকেই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ সময় শাহবাগ মোড়ের চারপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে, সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরাও যোগ দেন।
এর আগে শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ডে ‘প্রকৃত’ অপরাধীদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল ছাত্রদল। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ায় আজ ফের শাহবাগ থানা ঘেরাও করে আন্দোলনে নামে তারা।
রবিবার (১৮ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও সংহতি প্রকাশ করেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায়ও প্রায় দেড় ঘণ্টা শাহবাগ থানা ঘেরাও করে রাখে ছাত্রদল। তখনও তারা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
গত (১৩ মে) রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য বন্ধু আশরাফুল ও বায়েজিদকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। পথে রমনা কালীমন্দিরের পাশে একটি বটগাছের কাছে পৌঁছালে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করে মোটরসাইকেল ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
পরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা কিল-ঘুষি ও ইট দিয়ে আঘাত করে। এক দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাম্যর ডান পায়ের রানে উপর্যুপরি কোপ দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাম্য।
সঙ্গে থাকা বন্ধুরা দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রাজাধানীর রমনা থানায় মামলা দায়েরের পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও পলাশ সরদার (৩০)।
ছাত্রদলের দাবি, মূল আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা বলছেন, “মূল পরিকল্পনাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।”