চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সোমবার (৫ মে) কাতারের রয়াল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। তার এ ফেরাকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের ‘সুশৃঙ্খলভাবে খালেদা জিয়াকে স্বাগত’ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক যৌথসভা শেষে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “খালেদা জিয়া আমাদের হৃদয়ের নেত্রী। তাকে অভ্যর্থনা জানানোর সময় সবাইকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।”
এসময় তিনি অনুরোধ জানান, বিমানবন্দর থেকে কাকলী পর্যন্ত সড়কে ভিড় এড়াতে সাধারণ মানুষ যেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। সেখানে তিনি প্রথমে টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তিনি বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন। তার চিকিৎসায় যুক্ত ছিলেন খ্যাতনামা ব্রিটিশ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি এবং অধ্যাপক জেনিফার ক্রস।
দেশে ফেরার সময় সফর সঙ্গী হিসেবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকছেন তার দুই পুত্রবধূ—তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে একধরনের আবেগ ও প্রত্যাশার সঞ্চার। দলের অভ্যন্তরে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।