সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রেম, কৌশলে করেন কোর্ট ম্যারেজ। স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করেই থেমে থাকেননি ফয়সাল আহমেদ (৩৩), বাবার কাছ থেকেও হাতিয়ে নেন সাড়ে ৩ লাখ টাকা। শেষবার টাকা আনতে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ধরা পড়লেন স্থানীয়দের হাতে, এরপর যৌথবাহিনীর কাছে তাকে সোপর্দ করে তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে। রোববার (২৯ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওই গ্রাম থেকে ফয়সালকে আটক করা হয়।
আটককৃত ফয়সাল নরসিংদীর সদর উপজেলার পাঁচদোনা মেহেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে পরিচয় দিতেন। এ পরিচয়েই মোবাইল ফোনে আড়পাড়ার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর চলতি বছরের ২৫ মে গোপন কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে তাকে বিয়ে করেন।
কিন্তু শুধু বিয়েই নয়, নানা অজুহাতে ওই ছাত্রীর বাবার কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
পুনরায় টাকা চেয়ে শ্বশুরবাড়ি গেলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। ফয়সালের কথাবার্তায় ছিল অসঙ্গতি, পরিচয়পত্র দেখাতে চাইলে এড়িয়ে যান তিন। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি কাশিয়ানী আর্মি ক্যাম্পে জানান। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল ফোন ও ৬টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, এখনো ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’