হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন চিকিৎসকরা। রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুর জাহান বেগমের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা এ ঘোষণা দিয়েছেন।
চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আবারো কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে ৩ দফায় হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর রাতেই হাসপাতালের সব কাজ বন্ধ করে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। অন্য ডাক্তাররা তাদের কর্মবিরতিতে সংহতি জানালে রবিবার সকাল থেকে হাসপাতালের সকল বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার অঙ্গীকার করে চিকিৎসকদের দেওয়া কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পরে বিকাল ৪টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম। তিনি হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২ জন সমন্বয়কও তাতে অংশ নেন।
উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম বলেন, যে কোনো জায়গায় কিছু হলেই চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ বিষয়টা আমার কাছে খুব খারাপ লাগে। আমি আপনাদের কথা শুনতে এসেছি। আমিও সমব্যথী। আমি আপনাদের মা’য়ের মত, মায়ের কাছে কোনো কিছু লুকাতে নেই। আপনারা বলেন, আমি স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার করতে চাই।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আসাদুজ্জামানের কক্ষে এই বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহও অংশ গ্রহণ করেন।