সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি ও আমদানি বেশি হওয়ার কারণে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এমন চিত্র দেখা গেছে উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত সবজির ভান্ডার বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে মহাস্থান সবজির হাটে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আশেপাশের এলাকার সবজির বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে।
বাজারে আসা একাধিক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে সবজির দাম কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, উত্তরবঙ্গের সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বগুড়া জেলা শীর্ষে রয়েছে। চাহিদার চেয়ে আমদানি অনেক বেশি। দক্ষিণবঙ্গে বন্যার কারণে বড়-বড় পাইকারী ব্যবসায়ীরা আসতে পারছেন না। আবার আমদানী বেশি হওয়ার কারণে সবজির দাম কমেছে।
মহাস্থান সবজির হাট ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে বেগুন ছিলো ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা মন, এখন ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা মন, করলা ছিলো ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা মন, এখন ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা মন, শশা ছিলো ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা মন, এখন ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা, মূলা ছিলো ১৫০০ টাকা মন, এখন ১৩০০ টাকা, পটল ছিলো ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মন, এখন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা মন, কাকরুল ছিলো ১৬০০ টাকা মন, এখন ১৩০০ টাকা মন, পেপে ছিলো ৮০০ টাকা মন, এখন ৬০০ টাকা মন, লাউ ছিলো ২৮ থেকে ৩০ টাকা, এখন ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি। এবার দাম বেড়েছে কচুর গট ও মিষ্টি লাউয়ের। মিষ্টি লাউ ছিলো ২০ থেকে ২২ টাকা, এখন ২৭ থেকে ৩০ টাকা, কচুর গট ছিলো ১৫ টাকা কেজি, এখন ২০ টাকা কেজি।
বাজারে আসা এক সবজি চাষী বলেন, আমাদের এলাকার নান রকম সবজির দেশের বিভিন্ন বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বন্যার কারণে পাইকারী ব্যবসায়ীরা মহাস্থান হাটে না আসায় এবং আমাদের সবজী উৎপাদন ও আমদামী বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে বাজারে দাম কমেছে।