নব্বই দশকের চিত্রনায়িকা সুনেত্রা মারা গেছেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ছিলেন তিনি। গত ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে এ অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিলো ৫৩ বছর। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ-সম্পাদক জায়েদ খান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকাই সিনেমার ইতিহাসে তার নাম থেকে যাবে বহু সুপারহিট সিনেমার নায়িকা হিসেবে। ১৯৯০ সালে মুক্তি পাওয়া দেলোয়ার ঝাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘পালকী’ সিনেমাটি এ অভিনেত্রীকে দিয়েছিলো অন্যরকম জনপ্রিয়তা।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠা পেলেও অভিনেত্রী সুনেত্রা ছিলেন কলকাতার মেয়ে। সেখানেই মঞ্চে অভিনয় করতেন তিনি। এ অভিনেত্রীকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নিয়ে এসেছিলেন গুণী নির্মাতা মমতাজ মালী। ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘উসিলা’ সিনেমা দিয়ে মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিষিক্ত হন অভিনেত্রী সুনেত্রা। সিনেমার শুরুতেই তিনি নায়ক হিসেবে পান তৎকালীন সুপারস্টার অকাল প্রয়াত নায়ক জাফর ইকবালকে।
এরপর নব্বই দশকের চিত্রনায়িকা সুনেত্রা অভিনয় করেছেন ‘বোনের মতো বোন’, ‘ভাবীর সংসার’, ‘সাধনা’, ‘রাজা মিস্ত্রি’, ‘যোগাযোগ’, ‘ভাই আমার ভাই’, ‘সুখের স্বপ্ন’, ‘বন্ধু আমার’, ‘আলাল দুলাল’, ‘শিমুল পারুল’, ‘শুকতারা’, ‘সহধর্মিনী’, ‘কুচবরণ কন্যা’, ‘লায়লা আমার লায়লা’, ‘দুঃখিনি মা’, ‘বিধান’, ‘নাচে নাগিন’, ‘সর্পরানি’, ‘ভুল বিচার’, ‘বাদশা ভাই’, ‘রাজা জনি’, ‘বিক্রম’, ‘আমার সংসার’ ইত্যাদি হিট সিনেমাগুলোতে।
১৯৭০ সালের ৭ জুলাই কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সুনেত্রা। তার পারিবারিক নাম ছিলো রিনা সুনেত্রা কুমার। দুই ভাইবোনের মধ্যে সুনেত্রা ছিলেন ছোট। কলকাতার গখলে মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুল থেকে তিনি মাধ্যমিক শেষ করেছিলেন। পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রি নেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতি চর্চার প্রতি মনযোগী ছিলেন এ অভিনেত্রী। নাচ, গান ও অভিনয়ে নিজেকে তৈরি করেছিলেন।