সৃজিতকে ‘আব্বু’ তাহসানকে ‘বাবা’ ডাকে মেয়ে আইরা গণমাধ্যমে এমন মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী মিথিলা। দীর্ঘদিনের পরিচয়, প্রেম থেকে সংসার বেঁধেছিলেন অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান খান ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ২০০৬ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জনপ্রিয় এই জুটি। দীর্ঘ ১১ বছরের সংসারের পর হঠাৎ বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারকা এই দম্পতি।
এরপর ভারতের কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মিথিলা। প্রথম সংসারের একমাত্র মেয়ে আইরাকে নিয়ে সেখানেই থিতু হন অভিনেত্রী মিথিলা। যদিও বাবা তাহসানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আইরার। তবে মিথিলার সঙ্গে কী প্রাক্তন স্বামী তাহসানের যোগাযোগ ছিল?
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মিথিলা। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হলেও তাহসানের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। নিয়মিত কথা হতো দুজনের মধ্যে। কিন্তু সেটা মেয়ে আয়রার কথা চিন্তা করেই।
মিথিলার কাছে প্রশ্ন করা হয়, বিবাহবিচ্ছেদের পরও প্রাক্তন স্বামীর সাথে সম্পর্ক রাখা স্বাভাবিক কি? জবাবে এই তারকা অভিনেত্রী বলেন, সব সম্পর্কে ’বন্ধুত্ব’ নাও থাকতে পারে। কিন্তু সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আমাদের আগে দেখতে হবে। আমার কাছে সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য সবার আগে। আর এটাই করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার সন্তান আয়রা’কে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো আমাদের দু’জনের সন্তানের ক্ষতি হবে। আমি আর তাহসান ১৪ বছর একসঙ্গে থেকেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের দু’জনের পরিচয়। আমরা দু’জন দু’জনকে অনেক ভালো করে জানি। আমাদের কাছে আয়রা সবার আগে।
মিথিলার সবকিছু জেনেই তাকে বিয়ে করেছেন সৃজিত সৃজিত মুখার্জি। বিষয়টি নিয়ে উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘সৃজিত সবটাই জানত।বাংলাদেশে এসে আমার পরিবারকে দেখেছে সৃজিত। তাহসানের সঙ্গে আমার সম্পর্কও দেখেছে। বিয়ের মতো সম্পর্ক হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু কারণ থাকে, সৃজিত আমার সবকিছু জেনেই আমাকে গ্রহণ করেছে।
মিথিলা বলেন, আয়রার সঙ্গে সৃজিতের চট করে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। সৃজিতকে ‘আব্বু’ ডাকে আর তাহসানকে ‘বাবা’ ডাকে আয়রা। এই দুইয়ের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছি আমি। কলকাতায় যখন একটানা থাকতাম বাংলাদেশের লোকে বলত, মিথিলাকে তো পাওয়াই যায় না।
অন্যদিকে ঢাকায় থাকলে কলকাতার লোকজন বলে আমাকে ফোনে পায় না। আমাকে কেউ যদি বেশ কিছুদিন আগে অভিনয়ের কথা বলে, তাহলে আমি ঠিক সময় বের করে ফেলি।যে কাজ করাতে চায় আর যে কাজ করবে, তাদের দু’জনের চাওয়া মিলতে হবে।