আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি ও আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি পালন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ। এ সময় ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ এরকম বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থী এবং অংশগ্রহণকারীরা।
আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে সারা দেশে ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানান আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সারজিস বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেইসবুক লাইভে এসে জানান, ‘আজ থেকে প্রায় ১ মাস আগে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বাংলাদেশ পাওয়ার ১ মাস পূর্ণ হতে চলেছে। কিন্তু এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমরা আমাদের হাজারেরও বেশি ভাইকে হারিয়েছি; যারা সকলেই শহীদ হয়েছেন।
‘আমরা এখনো অসংখ্য ভাইকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেখতে পাই। অনেকে তাদের হাত হারিয়েছেন, আবার অনেকেই পা হারিয়েছেন। অনেকে চোখ হারিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে মনে হয়েছে, আমরা কীভাবে আমাদের নিহত ও আহত ভাইদের জন্য কী করতে পারি, কীভাবে তাদের শ্রদ্ধা জানাতে পারি।’
সারজিস আরো জানান, ‘তাদের পরিবারের যে ক্ষতি হয়ে গেলো, এই পার্থিব দুনিয়াতে সেটি পূরণ করা কোনোভাবে সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে তাদের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা জানাতে পারি এবং দোয়া করতে পারি।’
‘সে জায়গা থেকে আজকে আমরা একটি ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচির আয়োজন করেছি, আমাদের সকল শহীদ ভাইদের স্মরণ করতে এবং সকল আহত ভাইদের শ্রদ্ধা প্রতি জানাতে।’
ঢাবির রাজু ভাস্কর্য থেকে ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি শুরু হয়ে নীলক্ষেত, কলাবাগান, সায়েন্সল্যাব, মানিক মিয়া এভিনিউ (সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে), ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার এবং শাহবাগ হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্য সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে এসে শেষ হবে।