পরকীয়া ঢাকতে মাকে হত্যা করেন এমপিকন্যা শামীমা খান মজলিস। সাবেক এমপি সামসুদ্দোহা খান মজলিশের স্ত্রী সেলিমা খান হত্যায় জড়িত সন্দেহে তার মেয়ে শামীমাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেয়ের প্রেমিকের হাতেই ‘খুন হয়েছিলেন’ মা সেলিমা খান মজলিশ।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান অতিরিক্ত (আইজিপি) বনজ কুমার মজুমদার প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
আটকৃতরা হলেন, প্রয়াত এমপি সামসুদ্দোহা খান মজলিশের মেয়ে শামীমা খান মজলিশ পপি (৫৭), তার ‘প্রেমিক’ ইলেকট্রিক মিস্ত্রী সুবল কুমার রায়ক (৫০) এবং তাদের বাসার গৃহকর্মী আরতি সরকার (৫৮)।
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানান, হত্যাকারী সুবলের সঙ্গে মেয়ে শামীমার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় খুন হন সেলিনা খান। হত্যার পর আত্মহত্যা হিসেবে প্রচারের চেষ্টাও করেছিলেন আসামিরা।
তিনি আরও বলেন, মা ও মেয়ের সঙ্গে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদও প্রায় সময় লেগে থাকতো। এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের আটকের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ বছর আগে রাজধানীর সাভারের দক্ষিণ পাড়া এলাকায় নির্মমভাবে খুন হন সাবেক সংসদ সদস্য সামসুদ্দোহা খান মজলিশের স্ত্রী সেলিমা খান মজলিস। এ ঘটনায় মামলা হলে প্রথমে তদন্ত করে সাভার থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ‘সিআইডিকে’। দীর্ঘ দিন তদন্ত শেষেও মামলার কুলকিনার করতে পারেনি এই সংস্থাটি।
গত (৩০ মে) রাজধানীর সাভার এলাকা থেকে প্রধান হত্যাকারী সুবল কুমার রায়কে আটক করে পিবিআই। আটককৃত আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আটক করা হয় হত্যায় জড়িত আরও দুই আসামিকে, তাদের মধ্যে একজন নিহতের মেয়ে শামীমা খান মজলিস।