ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে রিফাত (২৭) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা তিতাসপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিক্টিম এর বাবা রিক্সাচালক ও মা গৃহপরিচারিকা। তারা তিতাস পাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। রিফাত তাদের প্রতিবেশী। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণশিক্ষা কার্যক্রমে পড়াশুনা করে বাড়ি ফিরে ওই শিশু। তখন তার বাবা-মা বাসায় না থাকার সুযোগ নিয়ে সন্ধ্যায় প্রতিবেশি রিফাত ওই শিশুটিকে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
পরে রিফাত তার নিজ বাড়িতে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। পরে মা বাসায় এলে শিশুটি পেট ব্যথার কথা জানায়। কিন্তু কেন ব্যথা এ বিষয়ে শিশুটি কিছু বলছিলো না। এ অবস্থায় তার মা তাকে মারধরও করে। ব্যথা বন্ধ না হলে তার মা তাকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে দেয়। এক পর্যায়ে শিশুটি মাকে সকল ঘটনা খুলে বলে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়রি) সকালে শিশুটির গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়।
পরে দুপুরে শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানিয়েছে প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং শুক্রবার বিকেলে পুলিশ মেড্ডা এলাকা থেকে অভিযুক্ত আসামি রিফাতকে আটক করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চকলেট দেওয়ার প্রলোভনে শিশুকে ধর্ষণ এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: আইয়ুব আলী জানান, খবর পেয়ে আমরা খুব দ্রুতই অভিযুক্ত আসামি রিফাতকে আটক করেছি। শিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।