পাপুয়া নিউ গিনির প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে চোরাগোপ্তা হামলায় অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মধ্যে সংঘর্ষে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই তাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এ সংঘর্ষকে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে। পাপুয়া নিউগিনি প্রশান্ত মহাসাগরের ১টি দ্বীপরাষ্ট্র।
দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, এনগা প্রদেশে বিরোধের সময় ওই ৬৪ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল গত সপ্তাহের শেষে। এ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ছিল এটি। রাজধানী পোর্ট মোরেসবির প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (৩৭৩ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ওয়াবাগ শহরের কাছে অবস্থিত। ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ।
রয়াল পাপুয়া নিউ গিনি কনস্ট্যাবুলারি ভারপ্রাপ্ত সুপার জর্জ কাকাস অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে (এবিসি) জানান, এখন পর্যন্ত এনগাতে ঘটা সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড, সম্ভবত পুরো হাইল্যান্ডেও এটি প্রথম। আমরা সবাই বিধ্বস্ত এবং মানসিকভাবে চাপের মধ্যে রয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিছু ছবি এবং ভিডিও পেয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, সেখানে একটি ট্রাক লাশ বোঝাই অবস্থায় রয়েছে।
এই এলাকার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রায়ই জমি ও সম্পদের বণ্টন নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তাদের সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের জুলাই মাসে এঙ্গাতে ৩ মাসের লকডাউন দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ কারফিউ ও ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো। এ ছাড়াও গত বছরের আগস্ট সাসে ঘটে যাওয়া সহিংসতা আন্তর্জাতিক শিরোনাম হয়েছিল। ওই সময় ১টি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পরেছিল। ওই ভিডিওটি সংঘর্ষে নিহত ৩ ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে ছিল।
দেশটির গভর্নর পিটার ইপাটাস বলেছেন, আবারও যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আমরা জানতাম ১টি বড় লড়াই হতে যাচ্ছে এবং আমরা গত সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্কও করেছিলাম, যাতে তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
গেল মাসেও বড় ধরনের সংঘর্ষ ও লুটপাটে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছিল। তখন সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। সোমবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ জানান, আমরা যথেষ্ট সহায়তা করছি। ইতিমধ্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ এবং পাপুয়া নিউগিনির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।