বগুড়ায় ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুুপুর ৩টার দিকে চলমান দাবদাহে কয়েকদিনের ব্যবধানে জেলায় সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে বগুড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর আগে, গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বগুড়া জেলায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো। ১৯৮৯ সালে ২১ এপ্রিল বগুড়ায় সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করেছিলো আওহাওয়া অধিদপ্তর।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো: আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার জেলায় ৪১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বগুড়ায় ইতিহাসের ২য় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটি। এরকম তীব্র দাবদাহ জেলায় চলমান থাকবে। এর সাথে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও খুব কম।
অতীতের সব রেকর্ড পেছনে ফেলে তাপপ্রবাহ বেড়েই চলেছে। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে কমছে দিনের আর্দ্রতা। বাতাসে আর্দ্রতা কমার কারণে শুষ্কতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বাড়ছে। আসছে দিনে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
অপরদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। তাপদাহের কারণে খেটে খাওয়া এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্টও বেড়েছে। একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, পানি, ডাব, আইসক্রিম খেয়েও তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারছে না মানুষ। এছাড়া জলাশয়, পুকুর ও বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি পান করে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন পশু-পাখিরা। তবে খুব জরুরি কাজ না থাকলে সহজে কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। তীব্র দাবদাহের কারণে আবাদি জমির ফসলও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।