দুই সন্তান রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে ব্যবসায়ী মো: আবু দাউদ শেখ ও তার স্ত্রী কোহেলি সুলতানা লাকি আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর এলাকায় নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আবু দাউদ শেখ মারা যান।
নিহত আবু দাউদ শেখ সদর উপজেলার বৈটপুর এলাকার মৃত মো: আজিজ শেখের ছেলে। কোহেলি সুলতানা লাকি আবু দাউদ শেখের স্ত্রী। নিহত দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস একাদশ শ্রেণিতে ও ছেলে মো: আল কাইয়ুম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত দম্পতির কলেজপড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস জানিয়েছেন, ঘুম থেকে উঠে বাবা-মায়ের ঘরে ঢুকে তাদের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তার চিৎকার শুনে স্বজনরা ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (০৩ জুলাই) রাতে আবু দাউদের বাড়ির পাশে তার বড় ভাই মো: নিজাম শেখের নাতনির জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিলো। সেই অনুষ্ঠানে আবু দাউদের ছেলে-মেয়ে গেলেও আবু দাউদ এবং তার স্ত্রী যাননি। কেনো যায়নি এ নিয়ে চলছে গুঞ্জন। দুই সন্তান রেখে তারা কেন এমন করলো, এ প্রশ্ন স্থানীয়দের।
এদিকে একসাথে স্বামী-স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্না থামছে না ছেলে ও মেয়ের। যেকোনো মূল্যে বাবা-মাকে ফিরে চেয়ে বিলাপ করছেন দম্পতির একমাত্র মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস।
বাগেরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাইদুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহে জেরে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।