বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন তরুণী। তরুণীর আসার খবর পেয়ে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যাায় প্রেমিক সোহাগ। তার বাড়িতে চার দিন অবস্থান নেওয়ার পরও প্রেমিক না আসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রেমিকা শান্তা আক্তার (২৩)।
শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শান্তা টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার খালুয়াবাড়ী গ্রামে প্রেমিক সোহাগের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। খবরে পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই তার নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ পাঠায়।
নিহত শান্তা আক্তার কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার অলুয়া গ্রামের মো: মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। পলাতক প্রেমিক সোহাগ ওই গ্রামের ছেলে নুরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় সোহাগের বাবা ও মা’কে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু চন্দ্র ঘোষ।
জানা গেছে, গত এক বছর আগে টিকটকের মাধ্যমে সোহাগের সঙ্গে পরিচয় হয় গৃহবধূ শান্তার। এরপর থেকেই তারা দুইজনে মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে তারা বিভিন্নস্থানে ঘুরতে যান। এ সময় বিয়ের আশ্বাসে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়।
এছাড়া প্রেমিকা শান্তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকাসহ তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছিলেন সোহাগ। পরে বিয়ের জন্য শান্তা প্রেমিক সোহাগকে চাপ দিতে থাকেন ও স্বামী-সন্তান’কে ছেড়ে সোহাগের বাড়িতে চলে আসেন। তবে প্রেমিকা শান্তার আসার খবর পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান সোহাগ। পরে তার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে গৃহবধূ শান্তা। এরপরও প্রেমিক না আসায় তিনি ওই বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু চন্দ্র ঘোষ জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনদের জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় প্রেমিকে বাবা ও মা’কে আটক করা হয়েছে। বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জনান তিনি।