চাঁদপুরে শামছুল হক গাজী নামের এক যুবকের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করায় ফারজানা আক্তার সাথী (৩০) নামের অপহরণকারী চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত ফারজানা আক্তার সাথী শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক এলাকার মৃত সুমন জমাদারের স্ত্রী।
গত ৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শামীম সরকারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামায় আরও ৪ জন বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, জেলার হাইমচর উপজেলা থেকে চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ডায়াবেটিস হাসপাতালে যান ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজী। পরে তিনি স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে জরুরি কাজের জন্য বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন।
এসময় তার সঙ্গে অজ্ঞাতনামা দু’জন নারীও ওঠেন। পরে অজ্ঞাতনামা ওই দুই নারী শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌছাঁলে ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজীকে নামতে না দিয়ে জোরপূর্বক শহরের মাদরাসা রোডের জান্নাত মহলের ৬ তলার শামীম নামের একজনের বাসায় নিয়ে যায়। এসময় আসামিরা ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। মানসন্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী গাজী তার ভাইয়েকে ১ লাখ টাকা পাঠাতে বলেন।
এ সময় অপহৃতের ভাই জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রকিবকে অবগত করলে তাৎক্ষণিকভাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশের একটি টিম মাদরাসা রোডের জান্নাত মহলে অভিযান পরিচালনা করে ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজীকে উদ্ধার করে। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আসামিরা পালিয়ে যায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মজিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ওই ফ্ল্যাটের মালিক শামিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে সহযোগী রুবি আক্তারকে গত ১৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বিকেলে আসামি ফারজানা আক্তার সাথীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।