লালমনিরহাটে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: সুমন খানের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পওয়ার পর সোমবার (০৫ আগস্ট) বিকেলে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে রাতে সেখান থেকে অগ্নিদগ্ধ ৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) বেলা ১০টার দিকে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ সেখান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন, লালমনিরহাট শহরের নবীনগর এলাকার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে মো: জনি মিয়া (১৮), আদিতমারীর খাতাপাড়া এলাকার মো: সাইদুর রহমানের ছেলে মো: শ্রাবণ (১৮), কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর বড়ভিটা বড়লই গ্রামের মো: জিয়াউর রহমানের ছেলে মো: রাদিফ হোসেন (১৭), রাজারহাটের জয়কুমুর গ্রামের মো: রেজাউল করিমের ছেলে মো: রাজিব উল করিম (১৮) ও লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মৃত খোকনের ছেলে মো: শাহরিয়ার তন্ময় (১৮)। নিহতদের স্বজনেরা মরদেহগুলো শনাক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ওমর ফারুক জানান, মরদেহের সঙ্গে থাকা অবশিষ্ট কাপড়ের চিহ্ন দেখে এবং ১টি মরদেহের গলায় চেইন দেখে লাশ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। তবে একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
লালমনিরহাট শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: সুমন খানের বাসভবনটির অবস্থান। সোমবার তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কেউই সেখানে ছিলেন না। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পাওয়ার পর সোমবার বিকেলে শহরে মিছিল বের করা হয়।
ওই মিছিল থেকে সুমন খানের বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিভে গেলে ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমে ৩টি ও একটি কক্ষের মেঝেতে ৩টি অগ্নিদগ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত রাদিফ হোসেনের পরিবার জানায়, বন্ধুদের সাথে রাদিফ শহরের মিশন মোড় এলাকায় বিজয় মিছিলে গিয়েছিলো। রাদিফ কীভাবে ওই ভবনে গিয়ে আগুনে পুড়ে মারা গেল, তা কিছুতেই বুঝতে পারছি না। ফেসবুকে খবর শুনে তাঁর মরদেহ শনাক্ত করেছি।