শরীয়তপুরে জজ কোর্টের আইনজীবী মো: ইমরান হোসেনের (৪৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার নিজ চেম্বার থেকে। বুধবার (১৯ জুন) রাত ৯টার দিকে শরীয়তপুর জজ কোর্ট এলাকায় তাঁর চেম্বার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ওই আইনজীবীর পরিবারের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, নিহত ইমরান হোসেন জেলার জাজিরা উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের কাউয়াদি এলাকার মো: শাহজাহান মাতবরের ছেলে। তিনি শরীয়তপুর জজ কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। ইমরান হোসেন ২০০৮ সাল থেকে শরীয়তপুর জজ কোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। শহরের তুলাসার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সমনে আটং সড়কের পাশের একটি ২তলা ভবনে ভাড়া করা কক্ষে ইমরান সোহেনের চেম্বার। বুধবার রাত ৯টার দিকে ওই কক্ষ থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আইনজীবী ইমরানের পরিবার সূত্রে জনা গেছে, ইমরান বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ঈদের কয়েক দিন পরিবারের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন। বুধবার দুপুরের পর চেম্বারে গিয়ে তিনি আর ফেরেননি। আমাদের ধারণা, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার কারণে ইমরান আত্মহত্যা করেছেন।
আইনজীবী ইমরান হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনে সহকর্মী আইনজীবী এবং তার পরিবারের লোকজন সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন। তার স্ত্রী উষা আক্তার স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে স্বজনেরা উষা আক্তারকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শরীয়তপুরে নিজ চেম্বার থেকে আইনজীবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই আইনজীবীর চেম্বারে যান। স্থানীরা ততক্ষণে ইমরানের চেম্বারের দরজা খুলে ফেলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাঁর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। নিহতের পরিবার বলছে, আইনজীবী ইমরান আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখব।