৬৪৩ কোটি টাকার রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে বৃষ্টির কারণে। স্থানীয় লোতজনের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার জন্য মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ভেঙে যাওয়া স্থানগুলো ঠিক করার আদেশ দিয়েছে সড়ক বিভাগ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে গিয়েছিলাম রাস্তা পরিদর্শন করতে। বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েক জায়গায় ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো ঠিকাদারকে মেরামত করতে বলা হয়েছে। রাস্তার কাজ এখনও চলমান। কাজ শেষে অভিযোগ আসলেও আসতে পারে, এখন নয়।
ঠিকাদার মো: জহিরুল ইসলাম ও ঠিকাদারের লোকজন এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি ৪ লেনে প্রশস্ত করাসহ নতুন ভাবে নির্মিত হচ্ছে। এ কাজের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। মাত্র ২ দিনের কয়েক ঘণ্টার হালকা বৃষ্টিতেই ভেঙে গেছে সড়কের ২৫-৩০টি স্থানে। রাস্তার বেশ কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার জন্য এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
মো: সাইফুল আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, শুধু মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কই নয় মুজিবনগর-দর্শনা সড়ক, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক, কুষ্টিয়া মেডিকেলসহ বিভিন্ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
মো: সাকিবুল হোসেন নামে এক পথচারী জানান, এদেশের সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে যাচ্ছে। ১ দিনের হালকা বৃষ্টিতে রাস্তার ২ পাশের অনেক স্থান ভেঙে গেছে। জায়গায় জায়গায় ফাটলও ধরেছে।
স্থানীয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার মো: সামিউল বাসার জানান, রাস্তার ২ সাইড ভেঙে গেছে। রাস্তার কাজ নিম্নমানের হচ্ছে। সবচেয়ে ভালো হতো রাস্তার ২ সাইডে ঢালাই দিয়ে মাটি দিয়ে কাজ করলে। তাহলে এটি আরো মজবুত হতো। এখন বর্ষাকাল। এ বর্ষায় পিচ না করে বর্ষার শেষে করলে ঠিক হতো। এখানে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও নিম্নমানের।