বগুড়ার শেরপুরে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণহত্যার বিচার, সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ এবং জনগণের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান চেয়ে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণও করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে শেরপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মোহনা সপিং সেন্টারের সামনে এই গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেরপুর-ধুনট-নন্দীগ্রামের উপদেষ্টা ইয়াসিন আলী হিমেল, মো: ইয়াসিন আলী হিমেল, সমন্বয়ক মো: সাদিকুর রহমান অয়ন, মো: আরাফত রহমান মিলন, মো: সৈকত, মো: রোহান, মো: মুজাহিদ হাসান, মোছা: সাইরিন রিদা, মোছা: সোহানী আক্তার সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
ইয়াসিন আলী হিমেল বলেন, “আমরা নেতার জন্য নয়, বরং শেরপুরের উন্নয়ন এবং ভাই হত্যার বিচার চাই।”
মো: সাদিকুর রহমান অয়ন বলেন, “শেরপুরে সড়ক ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ ও পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করতে হবে।”
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ধুনট মোড় থেকে হাজিপুর মডেল মসজিদ পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ, নিরাপদ জেব্রা ক্রসিং এবং রোড ডিভাইডার ফাঁকা জায়গা বৃদ্ধি, সকল বয়সের জন্য ফুটপাতের উন্নয়ন, নিরাপদ ইউটার্ন ও গোলচত্বর ব্যবস্থা, অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ ও সড়ক ব্যবহারের সুষ্ঠু ব্যবস্থা, অটো রিক্সা ও সিএনজির জন্য নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা, উল্টোপথে গাড়ি চলাচল বন্ধ এবং জরিমানা ব্যবস্থা,
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ,গাড়ির গতি ৪০ কিমি/ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ করা, ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন ও সড়কবাতি স্থাপন, শহরের রাস্তা ব্যবহার উপযোগী করা ও বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন, চিকিৎসা সেবায় কঠোর নজরদারি ও জবাবদিহিতা, করতোয়া নদী দখলমুক্ত ও দূষণ রোধ, অবৈধ ইজারা বন্ধ করা, সীমাবাড়ী ইউনিয়নে শিশু ধর্ষণের বিচার, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত শেরপুর, সরকারি সেবা ও ভূমি সেবায় দুর্নীতি বন্ধ, কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ ও শব্দদূষণ বন্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা।
এই গণসংযোগ এবং দাবিগুলোর মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা শেরপুরে সড়ক নিরাপত্তা, জনগণের সেবা, এবং শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, “ফ্লাইওভার নির্মাণের ব্যাপারে শেরপুরের জনগণ এবং আমি একমত, এছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণের জন্য বগুড়া উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও টেন্ডার বাস্তবায়ন হলে দাবিগুলোর বেশিরভাগই পূরণ হবে। তিনি আরো জানান, “ফুটপাত দখলমুক্ত করতে রোডস এন্ড হাইওয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে।