মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে গাইবান্ধা জেলার হাট-বাজারে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির দাম কিছুটা কমেছে। একই সময়ের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও বিআর-২৮ চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও অন্যান্য সব পণ্য কিনতে হচ্ছে চড়া দাম দিয়ে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধা শহরের কয়েকটি বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে অনেকটা কমেছে সবজির দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এই পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
একইভাবে দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা থেকে কমে ১১৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা থেকে কমে ২৪০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা থেকে কমে ২১০ টাকা, করলা ১২০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকা, মুখি কচু ৮০ থেকে কমে ৫০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশি মুরগি ৪২০ থেকে কমে ৪০০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬০ টাকা থেকে কমে ২৪০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ১২৭ টাকা থেকে কমে ১২৫ টাকা এবং প্রতি কেজি আটা ৪৮ টাকা থেকে কমে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য সবজির দাম কিছুটা বেড়েছিল। তবে এখন ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রকার সবজির দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে মঙ্গলবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা, প্রতি হালি ডিম ৪৮ টাকা থেকে বেড়ে ৫২ টাকা, চিকন চাল ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা এবং বিআর-২৮ জাতের চাল ৫২ টাকা থেকে বেড়ে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও লবণের দামে কোনো পরিবর্তন নেই।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সহায়তা নিয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।