বগুড়ার নন্দীগ্রামে ছিনতাই হওয়ার ৮১ দিন পর ইজিবাইক চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে গাইবান্ধা জেলা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকৃতরা হলেন, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপাড়া এলাকার মো: শাওন মিয়া (২৭), পুরান বগুড়ার পলাশ চন্দ্র ঘোষ (৪২), কাহালু উপজেলার কৈগাড়ী গ্রামের জুয়েল মোল্লা (৩৫), একই থানার দক্ষিণ কাঠুর এলাকার অশোক কুমার রায় (২৬) গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানাধীন বোয়ালী গ্রামের মো: আশরাফ আলী (৪০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত (১৩ জানুয়ারি) নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম এলাকারা মো: সেলিম রেজা ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা নিয়ে নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্য বের হয়। পথে মধ্যে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন এলাকায় পৌঁছিলে হঠাৎ পিছন থেকে ১টি প্রাইভেট কার অটোরিকশাটির সামনে এসে দাঁড়ায়। চালক কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রাইভেট কার থেকে অজ্ঞাত ৪ জন নেমেই অটোরিকশকার চালক সেলিমের হাত-মুখ বেঁধে গাড়িতে তোলে।
এরমধ্যে একজন সেলিমের অটোরিকশা ও ১টি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রাইভেটকারে থাকা অন্য ৩ জন সেলিমকে হাত, মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় উপজেলার কুন্দারহাট-রুপিহার বাজারের মাঝামাঝি সড়কের একটি জলাশয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক সেলিম বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ইজিবাইক উদ্ধারসহ আসামীদের আটক করতে মাঠে নামেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা জেলা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটকের বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন জানান, ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধারসহ চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা শহরের মহাসড়কে ছিনতাই, দস্যুতা ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের কাজে জড়িত ছিলো বলে তারা স্বাকীর করেছেন।