বগুড়ার আদমদিঘীতে শ্বাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে মেয়ের জামাই রাসেল হোসেনকে আটক করেছে র্যাব-১২। বুধবার (১০ জুলাই) রাতে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হাজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত রাসেল হোসেন বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার চাপাঁপুর ইউনিয়নের মিতুইল এলাকার সেলিম হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পে এক প্রেস বিফ্রিয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন।
প্রেস বিফ্রিয়ে তিনি বলেন, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের মিতুইল গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে রাসেল হোসেনের সাথে একই গ্রামের মৃত সোলেমানের মেয়ে ছালেহা বেগমের গত ৩ বছর আগে বিবাহ হয়। এরপর থেকেই পারিবারিক নানা বিষয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। স্ত্রী ছালেহাকে তার মায়ের সমস্ত সম্পত্তি তার নামে লেখে দেওয়ার জন্য জোর করতো।
এই নিয়ে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে স্ত্রী ছালেহাকে মারধর করে রাসেল। এসময় ছালেহার মা জোবেদা বেগম তার মেয়েতে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে রাসেল শ্বাশুড়িকে লোহার বেড়ি দিয়ে আঘাত করলে তার গলার ভেতরে ঢুকে বেড়ি যায়। এতে জোবেদা বেগমের গলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এসময় তাকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর থেকেই জোবেদা বেগমের মেয়ের জামাই রাসেল কৌশলে অন্যত্রে পালিয়ে আত্মগোপন করে থাকেন। ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হাজীপাড়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত রাসেল হোসেনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।