ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সংস্কার বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন। এই ৩ লক্ষ্যের কোনও টিকে ছাড়া কোনওটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সংলাপের স্লোগান ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন।
সংস্কার এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে বলে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ প্রথমত নির্বাচন কমিশনের। দেশের নাগরিকদের নির্বাচনের তারিখ না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় সময় দিতে হয় না। তবে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে দেশের সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, আর যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন তারাও সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।
প্রধান উপদেষ্ট বলেন, আমি মনে করি, ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত। নির্বাচন সংস্কার কমিশন কী সুপারিশ করবে তা আমার জানা নেই। তবে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ যদি এই কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে, তাহলে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য আমি তা মেনে নেব।
স্বাধীনতার ৫৩ পর জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দ্বিতীয় দেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সুযোগ যদি আমরা গ্রহণ করতে রাজি নািই হই, কিংবা অপারগ হই, তাহলে দেশের ভবিষ্যত কোনও প্রজন্ম আমাদেরকে ক্ষমা করবে না। আজকের এই সংলাপের মূল লক্ষ্য হলো আমরা এই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া হতে দেব না বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা