ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাদিম ইসলাম (২৫) নামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলার আরেক সমন্বয়কের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে আশুগঞ্জ থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় নাদিম ইসলামকে প্রথমে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। নাদিম ইসলাম উপজেলার চরচারতলা এলাকার বাসিন্দা মৃত ওমর আলীর ছেলে। অভিযুক্ত সমন্বয়ক মোহাম্মদ মিশেল উপজেলার সোহাগপুর এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে নাদিম ইসলামের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে গত রাতেই আশুগঞ্জ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে অভিযুক্ত মো: মিশেলকে গ্রেফতারের দাবি জানান উত্তেজিত জনতা।
জানা গেছে, আগামী ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে আশুগঞ্জ শ্রম ও কল্যাণ কেন্দ্রে তারুণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই মেলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহাদির আসার রয়েয়ে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতাদের আশুগঞ্জে আসার বিষয়ে প্রতিহত করার আহ্বান জানান মো: মিশেল। এর প্রতিবাদ করেন সমন্বয়ক নাদিম ইসলাম। এই ঘটনার জেরে গতকাল সন্ধ্যার দিয়েশ মিশেলের নেতৃত্বে একদল যুবক নাদিম ইসলামকে পিটিয়ে আহত করেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আশুগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আশুগঞ্জ শাখার সমন্বয়ক জয়ন্তী বিশ্বাস বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দু-একটি কর্মসূচিতে সে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। তবে মিশেল কোনও সমন্বয়ক না। উপজেলা সমন্বয়ক নাদিমের ওপর হামলাকী মিশেল ছাত্রলীগের কর্মী। আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এই মধ্যে মিশেল ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা না হলে কঠো কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বিল্লাল মিয়া জানান, গতকাল রাতে উপজেলার চরচারতলা এলাকার নাদিম ইসলাম নামের এক ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। যারা হামলা করেছে তাদেরকে ছাত্রলীগ কর্মী বলছে আহত পক্ষ। এ ঘটনায় এখনো কোনও অভিযোগ দেয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।