বগুড়ার শেরপুরে দা দিয়ে কুপিয়ে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধরমোকাম গ্রামে এঘটনা ঘটে। লাশটি উদ্ধার করে হেফজতে নিয়েছে থানা পুলিশ। হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
নিহত ব্যাক্তির নাম আকবর আলী (৬০)। তিনি শাহবন্দেগী ইউনিয়নের দক্ষিণ ধরমোকাম গ্রামের বাসিন্দা। সে পেশায় একজন কবিরাজ।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ধরমোকাম উত্তর পাড়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ (২৮) নামে এক যুবক আকবরকে ফোনে কল করে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়।
এরপর তাদেরকে সাথে নিয়ে চায়ের দোকানে দেখা যায়। রাত এগারোটার দিকে ধরমোকাম চার মাথায় দুইজনকে ধস্তাধস্তি করতে দেখে এলাকার কিছু লোকজন। তারা এগিয়ে এলে লতিফ পালিয়ে যায়। এসময় আকবর আলী রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিলেন। খরব পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনা স্থল থেকে একটি দা, চাদর ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। মোবাইলটি লতিফের বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নিহতের পুত্রবধু বলেন, লতিফের ফোন পেয়ে আমার শশুর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। এরপর কী হয়েছে আর বলতে পারি না।”
নিহতের ছেলে শাহজামাল বলেন, একজন প্রতিবেশী বাবার আহত হয়ে পড়ে থাকার খরব দেন। আমি সেখানে গিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তিনি আমাকে কিছু একটা বলতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু পারেননি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,”আমরা খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশটি উদ্ধার করে হেফজতে নিয়েছি।
তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলামান রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে ১টি দা, চাদর ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলমান আছে।