বগুড়ার শেরপুরে যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় এক নারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে শেরপুর পৌর শহরের সান্যাল পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী। ভুক্তভোগী ফেরদৌসি জাহান (২৫) উপজেলার সিমাবাড়ী ইউনিয়নের সদর হাসরা গ্রামের মৃত নায়েব আলী সরকারের মেয়ে।
অভিযুক্তরা হলেন, শেরপুর পৌর শহরের বারোদুয়ারী পাড়ার জয়নাল কবিরাজের ছেলে জুয়েল রানা (৩৬), ফরহাদ হোসেন (৩৮) ও গাড়িদহ ইউনিয়নের ছোট ফুলবাড়ি এলাকার ওসমান গণির ছেলে আলআমিন হোসেন (৪০)।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে অভিযুক্ত জুয়েল রানার সাথে বিয়ে হয় ফেরদৌসির। বিয়ের পর থেকেই জুয়েল ব্যবসার জন্য বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এক পর্যায়ে ফেরদৌসি বাবার জমি বিক্রি করে চার লক্ষ টাকা দেন। এর কিছুদিন পর আবারো টাকা দাবি করলে রাজি না হওয়ায় শারিরীক নির্যাতন শুরু করে তার স্বামী।
নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রায় দশ দিন আগে ফেরদৌসি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে সান্যাল পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন। এর পর ঘটনার রাতে জুয়েল রানা তার ভাই ফরহাদ হোসেন ও বন্ধু আলআমিন ফেরদৌসিকে তার ভাড়া বাসায় গিয়ে পেটের বাচ্চা নষ্ট করতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় সেখানেই মারধরে শুরু করে। মারধরের সময় পেটে লাথি মারায় পেটের বাচ্চা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেরদৌসি জানান, এর আগেও আমার পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি থানা পুলিশের আশ্রয় নিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।
তবে নির্যাতনের বিষয়ে অস্বীকার করে অভিযুক্ত জুয়েল রানা জানান, ওই মহিলার সাথে তিন মাস আগেই আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। সে আমাকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। এ বিষয়ে এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় দরবার হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবু কুমার সাহা জানান, অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।