পাবনায় আদালতের এজলাসে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে চলমান একটি মামলার শুনানির সময় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরদীতে সংঘটিত নাশকতা মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে আসেন অভিযুক্ত ছয়জন। শুনানিকালে তারা আদালতের এজলাসে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন। এতে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
পরে আদালতের আইনজীবী ও উপস্থিত সাধারণ মানুষ তাকে উদ্ধার করে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রাঙ্গণ থেকেই অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, আওয়াল কবির (৩৮), সাবেক পৌর ছাত্রদল সভাপতি ও বর্তমান পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার জাহান শিশির (৩৩), পৌর ছাত্রদল সভাপতি পদপ্রত্যাশী কালাম খান (৪০), দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন (৩৩), পৌর ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সবুজ হোসেন (৩৫), স্থানীয় বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম ডালিম (৩৫), সলিমপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্যG
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) রাশেদুল ইসলাম জানান, “আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”
এদিকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, “আদালতের এজলাসে এমন ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি সত্যি প্রমাণিত হয় যে বিএনপির কেউ এতে জড়িত, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে—এটাই দলের অবস্থান।”
এ ঘটনায় আদালতপাড়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং বিচার ব্যবস্থার মর্যাদা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহল।