বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার দুলাল চন্দ্র প্রামানিকের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে।
দরিমুকুন্দ মৗজার জমি সংক্রান্ত মামলার (নম্বর ১৮৫-পি/২০২৫) তদন্ত করতে এসে সার্ভেয়ার আর্থিক সুবিধা দাবি করেছেন। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন
একই দিন দুপুরে তিনি শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তার অভিযোগ তুলে ধরেন।
অভিযোগকারী নারী এমিলা বেগম উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দরিমুকুদ গ্রামের মোঃ বিপ্লবের স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে এমিলা বেগম বলেন, তিনি জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তি ও তার জমির গাছ কেটে নেওয়ার প্রতিকার চেয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশ অনুসারে জমির দখল সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব পান শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার দুলাল চন্দ্র প্রামানিক। দুলাল তদন্তে গিয়ে এমিলির কাছে টাকা দাবি করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এর ফলে সার্ভেয়ার দুলাল চন্দ্র পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সেখানে উল্লেখ করা হয় এমিলি নিজেই তার প্রতিপক্ষকে গাছ কেটে নিয়ে যেতে বলেছেন ও জমিটি তার দখলেও নেই। এই প্রতিবেদন মিথ্যা বলে দাবি করেছেন এমিলি।
তিনি বলেন, “আমি এখনো জমিটির দখলে আছি, এবং কাউকে গাছ কাটার কোনো অনুমতিও দিইনি। এই মিথ্যা প্রতিবেদনের কারণে আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবো।
উল্লেখ্য, এর আগে সার্ভেয়ার দুলাল চন্দ্র বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলা কর্মরত ছিলেন। চলতি বছরের মার্চের ২৫ তারিখে সারিয়াকান্দি উপজেলার মোছাঃ ফেরদৌসি বেগম নামে একজন নারী ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে দুলাল চন্দ্রের বিরুদ্ধে বগুড়ার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সার্ভেয়ার দুলাল চন্দ্র প্রামানিকের প্রতিক্রিয়া জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি তাকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তারও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক খান বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করা হবে।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজার মুঠোফোনে কল দিয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি