বগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় বিক্ষুব্ধ জনতার আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া পৌরসভার একটি ডাবল কেবিন পিকআপ গাড়ি ১১ মাস পর উদ্ধার করা হয়েছে। থানা পুলিশের সহায়তায় এই গাড়িটি গত ২২ জুন (রোববার) বিকালে পৌরসভার গ্যারেজে আনা হয়।
শেরপুর পৌরসভার সূত্রে জানা যায়, গাড়িটি সাবেক কাউন্সিলর ও পৌরসভার এক নম্বর প্যানেল মেয়র নাজমুল আলমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি গত বছরের ৩১ জুলাই তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর ৬ আগস্ট পুড়িয়ে ফেলা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিক্ষুব্ধ জনতা নাজমুল আলমের বাড়িতে হামলা চালায় এবং গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার পর থেকে নাজমুল আলম এলাকা ত্যাগ করেন এবং এখনও ফিরে আসেননি।
২০১৫ সালে মিউনিসিপাল গভার্নেন্স অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রজেক্ট (এমজিএসপি) এর আওতায় মিৎসুবিশি কোম্পানির তৈরি গাড়িটি পৌরসভাকে সরবরাহ করা হয়। প্রায় অর্ধ কোটি টাকার এই গাড়িটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তদারকি ও পৌর পরিষদের যাতায়াতে ব্যবহৃত হতো।
শেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল আলম জানান, ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট গাড়িটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর ২৭ নভেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় গাড়িটি উদ্ধার করে পৌরসভার গ্যারেজে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আশিক খান বলেন, “সরকারি সম্পদ রক্ষায় পৌর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং থানা-পুলিশের সাথে আলোচনা চলছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পৌরসভার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয়, আমরা তা করব।”