জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ (প্রিন্স) বলেছেন, বর্তমানে খালেদা জিয়া জীবনের জন্য লড়াই করছেন। তার অবস্থা গুরুতর এবং বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন, কিন্তু সরকার তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। তাই সালেহ বলেন, খালেদার জীবনে কোনো ক্ষতি হলে সরকারই দায়ী থাকবে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের হরি কিশোর রায় রোডে জেলা কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় বি এন পি-র উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে একতরফা নির্বাচন করেছে। সরকার দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। এখন সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। তবে এবার ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো কোনো নির্বাচন হবে না। এমনকি বিদেশী শক্তিগুলোও বাংলাদেশে এই ধরনের একতরফা নির্বাচনের বিরোধিতা করে। দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দুই বছর পর, তারা একটি ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন ভিসা নীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইউএস ভিসা নীতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমার ছেলের সম্পত্তি অবৈধ হলেও আমার যায় আসে না। আমরা জানতে চাই, আমেরিকা প্রধানমন্ত্রীর ছেলের ওপরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কি না?
সৈয়দ এমরান সালেহ আগামী ১ অক্টোবর ময়মনসিংহের নির্ধারিত রোড মার্চে অংশগ্রহণের জন্য নেতা-কর্মীদের আমন্ত্রণ জানান। তিনি এই অনুষ্ঠান সফল করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ময়মনসিংহের উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক এনায়েতুল্লাহ ও যুগ্ম-আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ময়মনসিংহ মহানগরের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।