আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে শেরপুর উপজেলা ও শহর পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ বর্ধিত সভা শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় শেরপুর পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমাই ঘোষের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম কুন্ডুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, “পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে, পাশাপাশি আপনাদেরও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভূমিকা রাখতে হবে।”
অনুষ্ঠানে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু ধর্মীয় সম্প্রীতির উপর জোর দিয়ে বলেন, “ধর্ম, বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে বিএনপি আপনাদের পাশে থাকবে।” তার এই বক্তব্য দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সৌহার্দ্যের এক ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরে।
এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দীপক কুমার সরকার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি করুনা রানী ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাঁধন কর্মকার কৃষ্ণ, অপরেশ বসাক, শেরপুর পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শুভ কুন্ডু, সহভাপতি দিপ্ত সরকার, দপ্তর সম্পাদক ও আনন্দ আশ্রম পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পাপন কানু, কার্যনির্বাহী সদস্য জনি মোহন্ত, বকুলতলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিথুন মোহন্ত, জুনিয়র টাউন বারোয়ারী পূজা আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন রায়, মির্জাপুরের রতন সাহা, রিপন গোয়ালা, খানপুরের মনিন্দ্রনাথ রায়, ভবানীপুরের তপন ব্যানার্জী প্রমুখ।

সভায় উপস্থিত বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ আয়োজক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ তাদের পূজার প্রস্তুতি এবং সম্ভাব্য সমস্যাগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
এবার শেরপুর উপজেলায় মোট ৮৭টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করে সভাপতি নিমাই ঘোষ বলেন, এই বর্ধিত সভা দুর্গাপূজার সফল আয়োজন এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব উদযাপনে সহায়ক হবে বলে আমরা আশাবাদী।