বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ)-এর নিয়োগ পরীক্ষায় অভিনব কৌশলে জালিয়াতির চেষ্টা করে ধরা পড়েছেন দুই ভুয়া পরীক্ষার্থী।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে আরডিএর উপ-পরিচালক ও নিয়োগ কমিটির সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের সাতবেকী গ্রামের মো. জাহিদ হোসেনের ছেলে জিহান আফ্রিদি ব্রাইট এবং রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিজদর্পা গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে শাপলা খাতুন।
সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে আরডিএ ক্যাম্পাসে অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষা ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সামিট স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
পরবর্তীতে দুপুর ২টার দিকে আরডিএ মহাপরিচালক ভবনে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়।
এ সময় দুই পরীক্ষার্থীর আচরণে সন্দেহ দেখা দিলে পরীক্ষা কমিটি তাদের উত্তরপত্র যাচাই করে। যাচাইয়ে দেখা যায়, লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের স্বাক্ষর ও মৌখিক পরীক্ষার উপস্থিত প্রার্থীর স্বাক্ষর মিলছে না।
এতে পরীক্ষার অনিয়ম ও প্রতারণার প্রমাণ মেলায় জিহান আফ্রিদি ব্রাইট ও শাপলা খাতুন ও সন্দেহভাজন ২ জনসহ ৪ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয় এবং বিকেলে তাদের পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
আরডিএ’র মহাপরিচালক ড. এ. কে. এম. অলি উল্যা বলেন,“পরীক্ষা চলাকালে ভুয়া প্রার্থী শনাক্ত হওয়ার পর তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। একাডেমির স্বচ্ছতা ও সুনাম রক্ষায় আমরা শূন্য সহনশীলতায় কাজ করছি। ইতোমধ্যে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নুল আবেদীন বলেন,“আরডিএর নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।


