চট্টগ্রাম-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ করতে গেলে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ ও দুইজন অন্যান্য নেতা-কর্মীকে গুলিবিদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনা নিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগ করছিলেন। এক পর্যায়ে দূর থেকে গোলাগুলি শুরু হলে তিনি ও আরও দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন (উত্তর) পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম সময় সংবাদকে জানিয়েছেন, “বিকেলে নির্বাচনী প্রচারণার সময় গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহর বুকে গুলি লেগে পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে।”
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, এরশাদ উল্লাহর বুকে লেগা গুলি পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। অন্য এক গুলিবিদ্ধের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকেরা চিকিৎসা চলছে; তাঁর প্রাণে আসলেই বা নই, সেটি চিকিৎসকরা জানাবেন বলে বলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে তদন্ত শুরু করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর দেশে আবারও দুষ্কৃতকারীরা অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম-৮ এ এই হামলা সেই শেকলেই পড়ে।’’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হতে পারে, তাই হামলাকারীদের শীঘ্রই ধরতে বলা হয়েছে। মির্জা ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের একজোট হয়ে দেশের জনগণের জানমাল ও ভোটাধিকার রক্ষা করতে আহ্বানও জানিয়েছেন।
পুলিশকে তিনি দ্রুত তৎপর হয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, দুষ্কৃতকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে না হলে দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


