বগুড়ার শেরপুরে এক চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম বাবু (৪২) নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।
এই অপহরণের অভিযোগ উঠেছে অপহৃতের ভাগ্নে জামাই নুর আলম সুইট (৩০)-এর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
শালফা গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাবু গত ৮ নভেম্বর (শনিবার) দুপুরে শেরপুর শহর থেকে রহস্যজনকভাবে অপহৃত হন। পরিবারের অভিযোগ, ভাগ্নে জামাই নুর আলম সুইট নেশাজাতীয় ঔষধের গন্ধ শুঁকিয়ে তাকে অচেতন করে অপহরণ করেছে।
এরপর থেকে অপহরণকারীদের পক্ষ থেকে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে এবং টাকা না দিলে বাবুকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি পুলিশকে জানালে আরও বড় ক্ষতির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
অপহৃতের স্ত্রী রোজিনা খাতুন জানান, ধুনট উপজেলার উল্লাপাড়া গ্রামের মন্টু তালুকদারের ছেলে নুর আলম সুইটের সঙ্গে কিছুদিন আগে তার স্বামীর ভাগ্নির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য সুইট তার ভাগ্নিকে নির্যাতন করত এবং মেরে ফেলার হুমকি দিত।
এই পরিস্থিতিতে তারা তাদের ভাগ্নিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুইট ফেসবুকে জাহাঙ্গীর আলম বাবুকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। রোজিনা খাতুন মনে করেন, সেই হুমকির জের ধরেই সুইট তার স্বামী বাবুকে অপহরণ করেছে।
এই ঘটনায় রোজিনা খাতুন শেরপুর থানায় ভাগ্নে জামাই নুর আলম সুইট, তার মা-বাবা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয়রা দ্রুত অপহৃত চিকিৎসককে উদ্ধার এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যপারে মুঠোফোনে নুর আলম সুইটের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নুল আবেদীন অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুজন দক্ষ অফিসারকে তথ্য উদঘাটনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং অপহৃত জাহাঙ্গীর আলম বাবুকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে। দ্রুতই তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।


