গণশুনানি ছাড়াই প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের প্রতিবাদে নওগাঁয় নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নওগাঁ শহরের কাঁঠালতলী মোড় সংলগ্ন নেসকো কার্যালয়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিপুল সংখ্যক বিদ্যুৎ গ্রাহক ও বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন।
নওগাঁ বিদ্যুৎ গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা কমিটির অভিযোগ, গত ২৯ জানুয়ারি নেসকো কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা গণশুনানি ছাড়া প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার স্থাপন করবে না। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে গত এক সপ্তাহ ধরে ৩০টি টিমের মাধ্যমে নওগাঁ শহরে বাড়ি বাড়ি গোপনে মিটার স্থাপন করা হচ্ছে।
নেসকোর এই ‘চোরের মতো’ মিটার স্থাপনের প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে কমিটি বিভিন্ন পয়েন্টে প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। এর ফলশ্রুতিতে নওগাঁর সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আন্দোলন কমিটির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ সকালে তাজের মোড়ে বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ সমবেত হন এবং সেখান থেকে নেসকো অফিস অভিমুখে মিছিল করেন।
নেসকো অফিসের সামনে পৌঁছানোর আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, যার মধ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন, মোতায়েন করা হয়। আন্দোলনকারীরা অফিসের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারায় বাইরেই বিক্ষোভ সভা করেন।
পরে, বিদ্যুৎ গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা কমিটির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নেসকো পিএলসির প্রকল্প পরিচালকের সাথে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। তবে, জানা গেছে যে এই বৈঠকে কোনো ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি। প্রতিনিধি দলের অভিযোগ, নেসকো কর্তৃপক্ষ গণশুনানি না করার বিষয়ে ‘তালবাহানা’ করছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ নওগাঁ জেলার সমন্বয়ক কমরেড জয়নাল আবেদীন মুকুল, বিদ্যুৎ গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব আলীমুর রেজা রানা, আহ্বায়ক মাসুদুল আলম সাজু, এনসিপির সমন্বয়ক সোহাগ মাহবুব হাসান, রানা জোয়ার্দার, সাংবাদিক সাইফুল ওয়াদুদ, ফরিদ হোসেন, ছাত্রফ্রন্ট নেতা মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন।


