ফেনীর পরশুরামে অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক উপপরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পরশুরাম পৌর এলাকার দক্ষিণ কোলাপাড়ার গুনাগাজী মজুমদার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন পরশুরাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুন্না দে, কনস্টেবল নাজমুল ইসলাম এবং কনস্টেবল রুহুল আমিন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ কোলাপাড়া গুনাগাজী মজুমদার বাড়ির নাসির উদ্দিনের স্ত্রী শেফালি আক্তার পারিবারিক বিরোধ ও মারধরের অভিযোগ তুলে থানায় মামলা করেন। অভিযোগের লক্ষ্য ছিলেন বনবিভাগের উপজেলা রেঞ্জ অফিসে কর্মরত ফারুক মিয়া, তার ছেলে যুবদল নেতা রাজিব মজুমদার এবং পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্যসচিব এমাম হোসেন ফয়সাল।
আজ সকাল ১০টার দিকে থনা পুলিশের এসআই মুন্নার নেতৃত্বে অভিযোগের তদন্ত করতে একটি টিম সেখানে পৌঁছায়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর লাঠি ও ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালান। এই ঘটনায় কনস্টেবল নাজমুল ইসলাম পিঠে ছুরিকাঘাতসহ আহত হন, আর পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
হামলার খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে আহত সদস্যদের উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহত এসআই মুন্না দে বলেন, “থানায় করা অভিযোগের তদন্তে গেলে বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় জড়িত ফয়সাল ও রাজিবের বিরুদ্ধে মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।”
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।”


