স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নয় দিনের বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে আগের চেয়েও সতর্ক অবস্থানে। ইলেকশন খুবই শান্তিপূর্ণভাবে হবে, এ নিয়ে সন্দেহের কিছু নেই।”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। নির্বাচনের দিন এবং পরবর্তী তিন দিন বিশেষ ব্যবস্থা বহাল থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সময়সীমা আরও বাড়ানো বা সমন্বয় করারও সুযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে সেনাবাহিনীর ৩০ হাজার সদস্য মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনের সময় সেনা সদস্যের সংখ্যা এক লাখে উন্নীত করা হবে। সেই সঙ্গে বিজিবির প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য, নৌবাহিনীর পাঁচ হাজার, কোস্টগার্ডের চার হাজার, র্যাবের আট হাজার এবং আনসার বাহিনীর সাড়ে পাঁচ লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আনসার এবার নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় বড় ভূমিকা রাখবে। তাদের জন্য অস্ত্র থেকে শুরু করে বডি ক্যামেরা, সবই দেওয়া হচ্ছে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে সরকার পতন ঘটেছে তা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কারণে নয়। স্বতঃস্ফূর্ত জনঅংশগ্রহণই মূল ভূমিকা রেখেছে। তাঁর ভাষায়, “আপনারা দেখেছেন—কীভাবে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাদের আত্মীয়–স্বজনরাও পালিয়েছে। এটি একজন বা দু’জনের কারণে নয়, জনগণের ইচ্ছার কারণে।”


