অন্তর্বর্তী সরকার মাত্র দেড় বছরে এমন সাফল্য অর্জন করেছে, যা অতীতে কোনো সরকার এত কম সময়ে করতে পারেনি এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, নানা সীমাবদ্ধতা ও সমালোচনা থাকলেও এই সরকার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তার দাবি, ঘোষিত প্রায় সব লক্ষ্যই অর্জিত হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সরকারকে অনেকেই সাধারণ কাঠামোর দুর্বল প্রশাসন হিসেবে দেখেছেন। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রও পারস্পরিক শুল্ক চুক্তিতে রাজি হয়নি। পাশাপাশি, ৫০০ দিনে ১ হাজার ৭০০টিরও বেশি বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, নতুন আইন পাসে জটিলতা এবং ছোট গোষ্ঠীর চাপের কাছে নতি স্বীকার করার মতো অভিযোগও ছিল।
তিনি দাবি করেন, বিপ্লব-পরবর্তী প্রতিশোধমূলক সহিংসতা কমেছে, দেশে স্থিতিশীলতা ফিরেছে। লবিং ফার্ম ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতি হয়েছে। রেকর্ডসংখ্যক আইন পাস হয়েছে, যার মধ্যে শ্রম আইন সংস্কার রয়েছে। জুলাই ডিক্লারেশন ও জুলাই চার্টার ভবিষ্যৎ রাজনীতির নতুন পথ তৈরি করেছে।
তিনি আরও জানান, সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, লালদিয়া টার্মিনালে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের বড় বিনিয়োগ হয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের ভূমিকা শক্তিশালী হয়েছে, খাদ্যস্ফীতি কমেছে এবং ব্যাংক খাতে লুটপাট কমেছে।
শফিকুল আলম বলেন, অতীতের নির্যাতন-অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জবাবদিহিতা শুরু হয়েছে, জোরপূর্বক গুম বন্ধ হয়েছে, রাজনৈতিক সহিংসতা কমেছে, র্যাব আইন মেনে কাজ করছে এবং সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে এসেছে।


