দেশের চালাবাজার স্থিতিশীল রাখতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ২১ আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে মোট ১৩ হাজার ৫২৮ মেট্রিক টন মোটা চাল আমদানি করা হয়েছে। এসব চাল ১৪৫টি চালানের মাধ্যমে আসা তিনশো পঁচানব্বই (৩৯৫)টি ট্রাকে বন্দরে নিয়ে এসে ৩১ নম্বর শেডে খালাস করা হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, মাসভিত্তিক আমদানির পরিসংখ্যানটি এভাবে: আগস্টে ১ হাজার ২৬০ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন, অক্টোবর ৫ হাজার ১৮৮ মেট্রিক টন ও নভেম্বর মাসে ১ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন। এই পরিমাণ চাল ছাড়করণের জন্য বেনাপোল বন্দর থেকে ৫টি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কাস্টমসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স ভূইয়া এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি বাবলু রহমান বলেন, “চাল আমদানির শুরু থেকেই আমরা কাস্টমস হাউসে চাল ছাড়করণের জন্য কাজ করে আসছি। ৪ মাস পর গত ২১ আগস্ট থেকে পুনরায় ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। যে পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে তার অধিকাংশই আমরা ছাড় করেছি।” এটি সংবাদ সম্মেলনে বা সূত্রে পাওয়া কথা।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে কিছুটা দাম কমেছে; আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজারে চালের দাম আরও কমে আসার সম্ভাবনা আছে। বন্দর পরিচালনার উদ্ভিদ সংরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, চালের চালানগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এসব চাল বেনাপোল বন্দরের ৩১ নং শেডে প্রবেশের পর কাস্টমস ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খালাস করা হয়েছে এবং ছাড়করণের প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।


