রাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত তিনটি দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রতিটি মামলায় ৭ বছর করে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন রায় ঘোষণা করেন।
পৃথক তিন মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৪৭ জন। এছড়া উল্লেখযোগ্য আসামি শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়াও আরও ২০ জন রয়েছেন এই মামলাগুলোতে।
তারা হলেন, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্যরা ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। আসামিদের মধ্যে কেবল মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গ্রেফতার অবস্থায় আছেন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে মোট ৯১ জন সাক্ষী জানান, রাজধানীতে থাকা জমির তথ্য গোপন করে রাজউকের প্লট বরাদ্দ নেন শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে–মেয়ে। এ অভিযোগে দুদক মামলাগুলো করে। আদালত সমন, গ্রেফতারি পরোয়ানা ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও অধিকাংশ আসামি আদালতে হাজির হননি। ফলে তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ সম্পন্ন হয়।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, রাজউকের নীতি লঙ্ঘন করে সরকারি জমি বরাদ্দ নিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয় এবং মিথ্যা হলফনামা দাখিল করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ আমলের বিভিন্ন অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। এর ধারাবাহিকতায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি তাঁর ছেলে–মেয়ে, বোন শেখ রেহানা ও তাঁদের সন্তানরাও আসামি হিসেবে রয়েছেন।
শেখ হাসিনা পরিবারের তিনটি মামলার বিচার একসঙ্গে চলেছে। গত ৩১ জুলাই এসব মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আর গত ২৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শেষ হয় এবং এরপর আজ রায় ঘোষণা করা হয়। রেহানা পরিবারের তিন মামলার রায় আগামী ১ ডিসেম্বর ঘোষিত হবে।


