রাজধানীর ঝিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে উদ্ধার হওয়া জান্নাতারা রুমী (৩০) নামে সেই এনসিপি নেত্রীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর সরকারি কবরস্থানের সামনে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
জান্নাতরা রুমী এনসিপির ধানমন্ডি থানা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন। সে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে হাজারীবাগ থানার জিগাতলা এলাকার ২৫/৭১ এক ভাড়া বাসায় থাকতেন৷
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জান্নাতারা রুমীর দুই বোন এবং এক ভাই। রুমী ছোট থাকতেই তার মা মারা যায়। পরবর্তীতে তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। রুমী ভাই এবং চাচাদের কাছেই বেড়ে উঠেন৷ ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে রুমী এনসিপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। জেলা কমিটিতে কিছুদিন কাজ করার পর সে ঢাকায় চলে যায়। পরবর্তীতে এনসিপির হয়ে সেখানে রাজনীতি করেন৷ সম্প্রতি ধানমন্ডি ৩২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে এক নারীকে মারধরের পর সারাদেশে তিনি আলোচনায় আসেন।
জান্নাতারা রুমীর চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান বলেন,পরিবারের সকলের সিদ্ধান্তেই তাকে রাতে দাফন করা হয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী এটিকে আত্মহত্যা বলেই ধরে নিচ্ছি। এর বাইরে আর বেশি কিছু বলতে চাইনা।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ঝিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাতারা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিচ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে রাত ১২ টার দিকে তার মরদেহ নিয়ে নওগাঁর পত্নীতলায় আসে পরিবার।


