ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে গিয়ে নিজ বাসার ব্যালকনি থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের চরপাড়া এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের একটি দল ময়মনসিংহ নগরীর বাঘমারা এলাকায় রাজুর বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি দোতলার ব্যালকনি দিয়ে নিচে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। লাফ দেওয়ার সময় পাশের একটি বাউন্ডারি দেয়ালে ধাক্কা লেগে তার মাথা ও শরীরে গুরুতর আঘাত লাগে।
পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। এরপর তাকে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, হাদির মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছিল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। সেই ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবেই রাজুর বাসায় অভিযান চালানো হয়।
এদিকে রাজুর স্ত্রী সাথী জানান, গত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে তার স্বামী রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন না। তিনি রাজনীতি থেকে সরে এসে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। তার নামে কোনো মামলা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব বলেন, পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান নিয়মিত কার্যক্রম। ওই এলাকায় পুলিশের কোন টিম অভিযানে ছিল, তা এই মুহূর্তে তার জানা নেই। রাজুর মৃত্যুর বিষয়েও তিনি অবগত নন বলে জানান।


