বগুড়ার শেরপুরে রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া পৃথক মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. শাহাদত হোসেন (৫৯), উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের মৃত চান্দুল্লাহ শেখের ছেলে। তিনি সুঘাট ইউনিয়নের ০২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অপরজন হলেন ভবানীপুর ইউনিয়নের বিশ্বা গ্রামের ছলেমান ওরফে সোলায়মান আলীর ছেলে মো. আব্দুল মালেক মাস্টার (৪৫)। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের গাড়িবহরে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে নিজ বাসা থেকে শাহাদত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান এবং বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ওই ঘটনায় শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাসা থেকে আব্দুল মালেক মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নুল আবেদীন বলেন, তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় পৃথক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।


