এলাকার লোকজন ধর্ষককে ঘটনাস্থলে আটকে রাখলে তার লোকজন এসে বাদীর ঘর বাড়ি ভাংচুর ও মারধর করে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ধর্ষণের দায়ে আটক যুবককে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে প্রভাবশালীরা। প্রথমে গোসলের ভিডিও চিত্র ধারণের পর ব্লাকমেইল করে এক গৃহ বধুকে (২৩) ধর্ষণ করেছে এক যুবক। আবার সেই চিত্র ধারণ করে আবারও ধর্ষণ করলে আটক হয় সেই গৃহ বধুর পরিবারের লোকজনের হাতে।
খবর পেয়ে যুবকের লোকজন ধর্ষিতার ঘরবাড়ি ভাংচুর করে তাকে ছিনিয়ি নিয়ে যায়। সোমবার বগুড়ার শেরপুরের শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সাধুবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে গৃহবধুর বাবা শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ধর্ষণে অভিযুক্ত মোঃ নূর নবী ইসলাম (৩২) সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়াও নূর নবীকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য শেরপুরের খন্দকার টোলা এলাকার মোঃ লিটন (৫২), মোঃ শাহান (৫৫), মোঃ শাহ জামাল (৫৫), সামাদ (সাবেক মেম্বর) (৬০), মোঃ মনির (৩২) সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ সুত্রে :
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে মেয়েটির বিয়ে হয় সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোন ব্যারিস্টারপাড়া গ্রামে। তার স্বামী মোঃ আমিনুল ইসলাম পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী এবং নূর নবী ইসলাম তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমিনুলের অনুপস্থিতে নূর নবী প্রায়ই তার বাড়িতে যেতেন। এর মধ্যেই তিনি গোপনে ওই গৃহবধুর গোসলের ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।
সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় ১৫ দিন আগে তাকে ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। এরপর মহিলাটি শেরপুর তার বাবার বাড়িতে আসেন। সোমবার দুপুরে মহিলাটির বাড়িতে কোন লোক না থাকার সুযোগে সেখানেও তাকে ধর্ষণ করেন। মহিলার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে নূর নবীকে ধর্ষণের দায়ে আটক করে রাখেন। এরপর রাতে নূর নবীর লোকজন এসে মহিলার বাবার বাড়ি ভাংচুর করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
থানায় অভিযোগকারী মহিলাটির বাবা গাজিউর রহমান বলেন, “আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার মেয়কে নূর নবী ধর্ষণ করলে এলাকার লোকজন তাকে আমার বাড়িতে আটকে রাখে। সন্ধ্যায় বড়িতে ফিরে তাকে পুলিশের হেফাজতে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
এসময় তার লোকজন এসে আমার ঘর বাড়ি ভাংচুর ও আমাদেরকে মারধর করে করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনা স্থলে যান। হামলায় আহত হয়ে আমার পরিবারের ৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।“
এবিষয়ে বক্তব্য জানতে শেরপুর থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।