নারীকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে পরিচালক তৈমুরের। তরুণ পরিচালক নূর-ই আলম তৈমুরের মৃত্যুর কারণ হিসেবে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে রেললাইন পার হওয়ার কথা বলা হলেও এ কথা মোটেও সত্য নয়।
রেল পুলিশের বিমানবন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ সানু মং মারমা এই ৩৪ বছর বয়সী পরিচালকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ মৃত্যুর বিষয়ে বলেন, কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে রেললাইন পার হচ্ছিলেন তৈমুর।
গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ট্রেনে কাটা পড়া এশিয়া কনটেস্টে পুরস্কারপ্রাপ্ত তৈমুরের মৃত্যুর বিষয়ে শুক্রবারে (১ ডিসেম্বর) ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন অভিনেত্রী রুনা খান। তার সেই স্ট্যাটাস থেকে জানা যায় তৈমুরের মৃত্যুর আসল রহস্য।
অভিনেত্রী রুনা খান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, তৈমুর রেললাইনে কাটা পড়ে মারা গেলেন। রেল পুলিশ বলেছেন, তৈমুরের কানে হেডফোন ছিল। তারা শুনেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে। অমনি ছড়িয়ে গেল তৈমুরের মৃত্যু হয়েছে কানে হেডফোন দিয়ে রেললাইন পার হওয়ার কারণে।
এরপর আমরা অনেকেই তৈমুরকে দোষ দিতে লাগলাম। কেন তুই কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন পার হবি? আমরা মৃত তৈমুরের প্রতি শোক অনুভব না করে তাকে অসতর্ক মূলক দোষারোপ করলাম।
কিন্ত তৈমুরের স্ত্রী এ বিষয়টি মানতে পারেননি। একে স্বামীর মৃত্যুর শোক, আরেকদিকে এমন অভিযোগ যেটা অবিশ্বাসযোগ্য। কারণ তিনি কখনো তার স্বামীকে হেডফোনে গানই শুনতে দেখেন নি। অবশেষে স্ত্রী মাসনুনার চেষ্টায় জানা যায়, এক নারীকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন পরিচালক তৈমুর।
সেই নারী বাঁচলেও বিপরীত দিক থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আসা আরেকটি ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পরেন তৈমুর। খিলখেত রেল ক্রসিংয়ের আশপাশের সবাই এই দৃশ্য দেখেছে।
অচেনা এক নারীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন যুবক, এমন সত্য আড়াল হয়ে যাওয়া উচিত নয়।