বগুড়ার শেরপুরে সড়ক রক্ষায় গ্রামবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হয়েছে ৩০০ মিটার কাঁচা সড়ক। এই জমির মধ্যে রয়েছে একজন ব্যক্তি ১০ শতাংশ জমি। এতে প্রতিবাদ করে সড়ক অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল সেই ব্যক্তি। গ্রামের মানুষজন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে উত্তেজনা পরিবেশের সৃষ্টি করেছে।
এ ঘটনা বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী- গোড়তা নবনির্মিত কাঁচা সড়ক নিয়ে। গ্রামবাসীর একপক্ষ সড়কের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। অপরদিকে আরেক পক্ষের মানুষজন অবস্থান নিয়েছে আম্বইল গ্রামের সড়কের উপরে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের গোড়তা গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামের গোবিন্দ চন্দ্র সরকারের পৈতৃক জমির আইলের উপর দিয়ে রাতের আঁধারে মাটি ফেলে প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ করেছে গোড়তা গ্রামের অন্তত শতাধিক ব্যক্তিরা। এতে তার চাষের জমি সড়কের রূপ নিয়েছে।
জানা যায় নবনির্মিত এই মাটির সড়কের উপর দিয়ে এখন চলাচল করছে গোড়তা, কেশবপুর, আম্বইল পূর্বপাড়া, জয়নগর ও রংপুর গ্রামের অন্তত ৪০০ পরিবার।
ভবানীপুর ইউনিয়নের গোড়তা গ্রাম এলাকার ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার সরকার বলেন, গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে এই সড়কটি তৈরি হয়েছে। সড়কে দূরত্ব অন্তত ৩০০ মিটার। গত ৭ জানুয়ারি রাতে গ্রামবাসী তৈরি করেছে। এইটি পূর্বে ছিল জমির আইল। অন্তত ১৭ পরিবারের মানুষজনের জমির মধ্যে পড়েছে নবনির্মিত এই সড়ক। এ সকল পরিবারের মধ্যে গোবিন্দ চন্দ্র সরকারের জমির পড়েছে অন্তত ১০ শতাংশ। গ্রামবাসীর কয়েকশো নারী পুরুষ এই সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। এ ঘটনায় গ্রামের মধ্যে দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং উত্তেজনা পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গোড়তা গ্রামের ১৫ জন বলেন, তাদের স্বেচ্ছাশ্রমে নবনির্মিত এই সড়কটি রক্ষার জন্য তারা এখন নিয়মিত পাহারা দিচ্ছেন।
আম্বইল গ্রামের হেমন্ত সরকার বলেন, তারা এখন বিশ্বাস করেন তাদের পৈত্রিক জমি অবৈধভাবে দখল করতেই কিছু মহল জমির মধ্য দিয়ে সড়ক তৈরি করেছে। এমন ঘটনা অন্যায়। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের আশ্রয় নিয়েছেন।
এ নিয়ে ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, গোড়তাসহ উল্লেখিত পাঁচ গ্রামের মানুষজনের চলাচলের জন্য গ্রামটির পূর্ব পাশে পাকা সড়ক রয়েছে। এতে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গ নিয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, উত্তেজনাকর কোনো পরিবেশ যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ বিশেষ নজরদারি রেখেছে।